সূর্যের ব্যবচ্ছেদঃঃ প্রাথমিক ধারণা
পৃথিবীর মত সূর্যও গঠনগতভাবে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত। সূর্যের রাসায়নিক গঠনে আছে হাইড্রোজেন ৭৫%, হিলিয়াম ২৪%, আর বাকি ১% হল অক্সিজেন, কার্বন, আয়রন, নিয়ন ইত্যাদি। এসকল পদার্থ প্লাজমা অবস্থায় থাকে। সূর্যে কোনো কঠিন বা তরল পদার্থ নেই। সূর্যের গঠন সূষম নয়। এর তাপমাত্রা, পদার্থের ঘনত্ব, উজ্জ্বলতা কেন্দ্র থেকে বহিস্থ অঞ্চল পর্যন্ত নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরুপ, সূর্যের কেন্দ্রের ঘনত্ব পানির ঘনত্বের ১৫ গুন, কিন্তু সূর্যের সর্ব বহিস্থ অঞ্চলের ঘনত্ব পানির ১০০ বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ। আবার সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রী কেলভিন, কিন্তু বহির্দেশের তাপমাত্রা ২ মিলিয়ন ডিগ্রী কেলভিন। সূর্যের পৃষ্ঠকে ভিত্তি হিসেবে ধরলে সূর্য কে প্রধান দুটি অঞ্চলে ভাগ করা যায় :
১. সূর্যের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল
২. সৌর বায়য়ুমন্ডল বা বহিস্থ অঞ্চল
চিত্রঃ সূর্যের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলসমূহ
সূর্যের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলসমূহ
সূর্য পৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অঞ্চলসমূহ সূর্যের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলের অন্তর্গত। অভ্যন্তরীণ অঞ্চলসমূহ হল : সূর্যের কেন্দ্রীয় অঞ্চল বা কেন্দ্র, বিকিরণ অঞ্চল, ট্যাচক্লাইন এবং পরিচলন অঞ্চল।
চিত্রঃ সূর্যের বহিস্থ অঞ্চলসমূহ
সূর্যের বহিস্থ অঞ্চলসমূহ
সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে বাইরের দিকে বিস্তৃত অংশ নিয়ে বহিস্থ অঞ্চল। আলোক অঞ্চল, বর্ণমন্ডল এবং সৌরমুকুট বা করোনা নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত।।
উৎসঃ উইকিপিডিয়া।
No comments