সূর্যের ব্যবচ্ছেদঃঃ পরিচলন অঞ্চল


বিকিরণ অঞ্চলকে বেষ্টনকারী এই অঞ্চলের ব্যাসার্ধ সূর্যের মোট ব্যাসার্ধের প্রায় ৩০% হয়ে থাকে । এটি সূর্যের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলসমূহের মধ্যে সর্ববহিঃস্থস্তর। এর তাপমাত্রা ও ঘনত্ব বিকিরণ অঞ্চল থেকে কম।
প্রথমত, এ আবরনের নিন্ম প্রান্তে অবস্থিত গ্যাসীয় অনুসমুহ বিকিরন অঞ্চল থেকে বিকিরিত তাপ গ্রহণ করে। ফলে অনুসমুহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এরা প্রসারিত হয়ে বেলুনের তথা বাবলের মত ফুলে যায়। ফলে এদের ঘনত্ব কমে যায়। তখন তারা পরিচলন অঞ্চলের উপরে অংশে তুলনামূলক কম তাপমাত্রার দিকে ধাবিত হওয়া শুরু করে।
যখন এই উত্তপ্ত গ্যাসীয় অনুসমুহ পরিচলন অঞ্চলের বহির্ভাগে পৌছায়, তখন এরা তাপ বিকিরন করে ঠান্ডা হয়। ফলে তাদের আয়তন কমে গিয়ে ঘনত্ব বেড়ে যায়।এরা আবার পরিচলন অঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে আসে এবং পূর্ববর্তী প্রক্রিয়া অনুসরন করে। এর তাপ পরিবহন দৃশ্য অনেকটা পানির স্ফুটন দৃশ্যের মত, যেখানে বাবল ( bubble) তৈরী হয়। বাবল তৈরীর এ প্রক্রিয়াকে গ্রানুলেশন বলা হয়।
পরিচলন অঞ্চল ও আলোক অঞ্চলের মিলনস্থলে অবস্থিত গ্যাসসমুহ খুবই আলোড়নপূর্ণ তথা বিশৃঙ্খল। এরা পরিচলন কোষ ( convection cell) তৈরী করে তাপ পরিবহন করে। পরিচলন কোষের প্রাচীরে প্লাজমা ও বিপরীতভাবে বিন্যস্ত চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। তখন চৌম্বকশক্তি গতিশক্তিতে রুপান্তরিত হয়। এই গতিশক্তিই সূর্যের সৌরমুকুট অঞ্চলে(corona) অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টির জন্য দায়ী। তাছাড়া সৌরবায়ু কনার প্রবাহের জন্য এই শক্তি দায়ী।
এখানে তাপস্থানান্তর প্রক্রিয়া এতই দ্রুত যে, একগুচ্ছ ফোটনের এ অঞ্চল পাড়ি দিতে মাত্র এক সপ্তাহ থেকে তিন মাস সময় লাগে।
উৎসঃ উইকিপিডিয়া

No comments

Theme images by JacobH. Powered by Blogger.